=====মিশুক সেলিম
স্কুল কলেজ পালানো শিক্ষার্থীর মতো ঝোলা
কাঁধে আমি প্রতিদিন রাজপথ মাড়িয়ে বেড়াই,
স্ব-রচিত বই নিয়ে নগ্ন পায়ে থমকে দাঁড়াই ।
উত্যপ্ত দুপুরে শিরিষ গাছের শীতল ছায়ার ফাঁকে
রৌদ্র গলে আসা তপ্ত পিচঢালা পথে রক্ত ঝরাই।
আমি মুক্তিযুদ্ধের ঝাপটায় ঘরবাড়ি, দু’সন্তান
হারানো এক নির্ভীক বিপর্যস্ত জীবনসংগ্রামী,
তোমাদের ভাষায় বলো একাত্তরের মা জননী।
বার্ধক্যের চাপে গালের ওপর স্পষ্ট ভেসে ওঠা
রেখাগুলোর ফাঁকে হায়েনার চিহ্ন আছে অদ্যাবদী।
ভাঙা খাট জরাজীর্ণ ঘর,টেলিভিশন-পত্রিকায়
আমাকে নিয়ে ভূড়ি-ভূড়ি হৃদয় বিদারক খবর,
তাজ্জব হয়ে দু-নয়নে দেখি মুহুর্ত ধরার ঝড়,
তোমারই মাঝে তুমি নেই, সে কথা কি করে বুঝি,
আজ আমি নগরীর চেরাগি মোড়ের লুসাই ভবনের
চতুর্থ তলায় বসে শুধুই এ জীবনের মানে খুঁজি।